Wednesday, 7 August 2019
দাম্পত্য
ফাল্গুন
লিখেছি আর ভোর ভোর সস্ত্রীক নিভে আসে।
এর আগে
আমি তো বহুবার, তোমার
দরজা খোলা,
বাড়িঘর
তখনো ওঠেনি। অল্প
রোদ, খুটুর
খুটুর তার
হলুদ
স্বভাব। বারান্দায়
অসমবয়সী রাত্রিক্লেশ মোটা ও ভারী।
চোখে
মুখে কিছুটা চড়ুই দিয়ে নীলিমা করেছি আপাতত।
আলাপের
সঙ্গে রোমাঞ্চ মিশিয়ে বেড টি। ব্রিটানিয়া
বুলিয়ে
নি। ঘনকাতর
আজ জানালা অর্থাৎ বাতাস সুগন্ধ।
গোলাপ
গাছের কাহিনি লুকিয়ে
রেখেছো জানি।
চোখ ভর্তি
নদী আমি স্নান লিখবো একটু পরেই-----
গোড়ালির
ডাকনাম টেবিলে উপুড় করা।
চোখ তুলে
এদিকে তাকালে
বুঝে
যাবো বিবাহ রাখার কৌশল, নির্জন কতটা শরিক।
জিজ্ঞাসাবাদ
আরেকটা
দেখাশোনা থেকে নিবিড় নয়নমণি উড়ে এলো।
আবছায়ার
ফাঁকে ফাঁকে চাঁদ। দৈনিক
নি:শ্বাসের নিচে
বেদম
সারল্য মোলায়েম হলে আশ্চর্য সবিতা
জন্ম নেয়।
তখন অতিকায়
আলোর খ্যাপামোগুলো নেমে আসে।
রূপালী
সংঘের মাঠে, কী ভীষণ
ভুটান শুরু করে।
বাড়িতে
বাড়িতে, চোখেমুখে
একটানা শিশুকাল;
পাপড়ি
থেকে গীটার ককিয়ে ওঠে।
হে মাংসের স্বাদু লাবণ্য---
আমি কি
পরণে তন্দ্রা জড়িয়ে থাকবো?
প্রতিদিন
অন্ধকারে কামড় বসিয়ে চাঁদের স্বপ্ন খেয়ে যাবে।
দ্যাখো
আমি আজ বিসর্গহীন,
বর্ণমালার
সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ পাঠ করেছি
হাততালি
খুন করে আজ আমি অপরাধী
কুয়োতলার
সঙ্গে অর্গাজম করে
বিবাহে
হেলান দিয়ে অনুপম মানুষ থাকছি না আর।
ফটোগ্রাফি
নাছোড়
প্রসঙ্গগুলো কতটা নার্গিস। বেগম লিখো না।
নাভির
নয়নতারা কখনো ভোলার নয়।
শরীর
থেকে বিটোফেন গন্ধ ছড়ালে ধারালো নছিত জন্ম নেয়।
আপেলের
রস, সেখানে
কামড়ে দিলে--
তামাম
পালিশ ঘরময় ছড়িয়ে ছিটিয়ে
জৌলুস
কচলে কচলে কাচ, হিরে
অথবা চাঁদের গঠন তৈরি হয়---
গাছে
গাছে সেই শ্রেষ্ঠ জ্যোৎস্নার প্রভাব
আটকে
গেলে মাঝপথে তখন উলু দাও--
এই বঙ্গদেশ
নিবিড় দাম্পত্য দিয়ে বড় করো।
সন্ধ্যার
তলায় চোখের প্রসার খুলে দ্যাখো----
নি:শ্বাসের
বর্গমূলে উবুগুলো ঠিকঠাক ধরা আছে কি না।
অভিপ্রায়
তার কাছে
জেগে উঠি, চমৎকার
তৈরিতে
উঠে যাই।
কিন্তু
ভেতরে ভরাট হয়না। কিনারের
ধারে, জ্যোৎস্নায়
নড়াচড়া
দেখে নায়ক নি:শ্বাস টের পাই।
ফুসফুসের
পাশ থেকে যেখানে নদীগুলো শুরু হয়---
মনোরম
গড়িয়ে নামছে....তুমি কোনোদিন এরম লেখোনি।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
বেশ
ReplyDelete'দাম্পত্য' সবচেয়ে বেশি ভালো লাগলো ...
ReplyDeleteThis comment has been removed by the author.
ReplyDeleteভালো লাগল।
ReplyDeleteকবিতা গুলো একদম অন্যরকম ভালো লাগা দিয়ে গেড়ো
ReplyDelete