১.
রিকিচির স্পর্শে কাটা হল আজন্ম ধান
যেখানে শাদা ভাত কোনো যোদ্ধা অথবা
জন্ম কৃষকের ঘরের ছদ্মবেশী সন্তান।
যুদ্ধ শেখো অথবা সন্ন্যাসগামী কোনও বুড়োটে
পাগলের ছেড়ে আসা স্বপ্ন সঞ্চার তোমাকে ভাবাবেই
ভাবাবে কোনও জাপানি গ্রামের বর্ষার গলিত পথ
বুঝে নাও আগুন আর অস্ত্রের সোপান
যেখানে ক্লান্ত খচ্চরের লাঙলে লুঠের আক্রমণ
চালিয়ে যাচ্ছে দস্যুর চোখ
২.
ঘোড়ার শরীরে শূন্য হচ্ছে জাপানি গ্রামের একফালি হাসি
যেখানে প্রত্যাশার মতো কেউ চেয়ে আছে যোদ্ধার ঘরে
জন্ম বাসনা নিয়ে। ফুলের ওপরে বিছিয়ে ফেলা কান্না
অথবা ঘন শ্বাস নেওয়ার ত্রস্ত শিকড়ে ঘনিষ্ঠ সন্দেহের
কোনও দস্যু চেহারা মেখে ফেলেছে অপরাধ।
তুমি এসো আবক্ষ মূর্তির মতো। বোকা হাসির নীচে চাঁদ ভাঙা ঐতিহ্যের মতন।
৩.
হত্যার নিকটে এক বক্রমুখ। আগুনের দোয়ায় কেঁপে গেছে যে সদ্যোজাত শিশুর হৃদয় তাকে মাতৃতুল্য অসহায়ত্ব দিয়েছ তুমি। পাপের হাতে যে চিহ্নিত চিরাগ তার উপদ্রবে ক্ষয়ে গেছে মিলেট সাজানো গ্রাম। মাঞ্জো! জলের ঢেউয়ে লুকিয়ে আছে কন্যা যন্ত্রণার শোক। কি করে বুঝবে তুমি আগুনের চাকায় তৃষ্ণা মেটে না কোনোদিন।
বৃষ্টির আগে ভিজে যাচ্ছে জাপানি হীনমন্যতার লিপি।
তুমি দেখেছো কাঠ কাটার আগে দুর্ভিক্ষ ও মন্বন্তর কত
কঠিন হতে পারে। কত মানুষ ভেসে গেছে রক্তের খোয়ায়।
কত মানুষ বেমানান হয়ে পড়েছে শোকচ্ছায়ার রশোমনে।
স্বপ্ন দাও। বেভুল এক বাক্যের অধিকারে।
কেন দুঃখ নেই? কেন শুয়ে আছে ক্রোধ? তবু দেহ নষ্ট হয়ে এলে খুঁজে নাও
যে মানুষের চোখ আছে সে এইসবই লিখবে। জানা কথা।
ReplyDelete- শুভঙ্কর
ধন্যবাদ
ReplyDeleteবাহ খুব ভালো লাগলো শানু দা।
ReplyDeleteধন্যবাদ 🙂
Delete