Monday, 5 August 2019
বিকার
১
ঋণের চেয়েও ভারি দিন, কিছু খুচরো আলো
লেনাদেনা
যে আশঙ্কা সয়ে গেছ, তার
আজই ফুল ফোটার বাহানা
আস্কারা দিই, তাকে আঙুলের মধ্যে
নিয়ে আসি
কোথায় সে ফুল! এ যে অবসাদ নাম্নী এক পুরনো লাটিম
এ যে সুতোহীন স্মৃতি, ঘুরপাক খেতে খেতে
গা
সমেত এলিয়ে পড়েছে
যেন সরীসৃপ। যেন দোষের গহ্বর, থাবা না
সরাতে পেরে
দুজন শেয়াল ভেঙে ফেলতে চাইছে ভুল, দেহ ও ক্ষমায়
২
সন্দেহ তো নেই আর, সে কেমন বুড়ো হয়ে
গেছে
গলাধাক্কা দিয়ে তার গোড়াসুদ্ধ অগ্নিতে উপুড়
ছটফট করে, ধোঁয়া ঘুরে ওড়ে সাবেকি যা
ত্রুটি
ক্ষয়ের আগ্রহে দেহ বয়ে যাচ্ছে দোষ ও ভ্রুকুটি
কী দোষ? কীসের ক্ষয়? স্বভাবে কি হিসেব মেলাব?
জবাবের চেয়ে তীক্ষ্ণ ভেসে আছে কাঁচা চন্দ্রচোখ
মজ্জাহীন সেও । তবু, অন্ধচোখে সকলই
সন্দেহ
সংকোচে জেগেছে জল, ও বাঁশরি, তুমি তো জানোই
ভুল, দ্রৌপদীর ছায়া, বেশি
কম সবারই গোপন
সাহস
আস্পর্ধা নাগালে ছিল
যাযাবর সাপ, তাকে
ছুঁয়েও দেখল না
সমুদ্রভয় বা বিষ
ওগরাতে পারলেই তুমি শান্ত সরীসৃপ
চরের উপর বুক, ফিরে যাচ্ছ, মৃত্যু না নিয়েই
হে ভয়ার্ত দূত
উৎসুক ডঙ্কার পাশে রহস্যের কাঠি
ঘেঁটে দেখছ নিরাপদ শব
যতই বৃহৎ হোক এই পদক্ষেপ
দুটো দরজা দিয়ে কেউ ভেতরে আসে না
বৈধ
পাহাড়? ভেবেছি ক্লান্ত মথের আস্তানা
আঁচল? ভেবেছি নীল, অযৌন পালক
দূরে দেখি । দূরে মুগ্ধ নমস্য, গভীরে
এ জহর না চিনেই ঘাতক চোয়াল
ঢেউ খোঁড়ে মৃত প্রজাপতির শরীরে
যোগী
খণ্ডিত গণ্ডির প্রাণ
ভোগী হও তোমরা কজন
যত দ্রুত, ঘা ছড়িয়ে যাই
যতি ফের জড়তায় টানে
ঘরোয়া জীবন, একা, টের পায়স----
ঝুঁকে থাকা
দোলনার মানে
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
ভালো
ReplyDelete