Saturday, 3 August 2019
একটি
মৃত
সকালে
যা
হয়েছিল
সকাল থেকেই আজ একটা নীলচে ঘোমটাটানা ভোর। মেঘ ছেঁড়া আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরছে কাগজ। কাগজের স্তূপে চাপা পড়ে মরে গেলো কানা
সাতকড়ি। অফিস
যাবার জন্য তৈরি হয়ে দেখলাম বাবা উড়ে যাচ্ছে জানলা দিয়ে আর মা দুদিকে লাল ফিতের বেনী
করে গানে বসেছে। টেবিলের
ওপর কাগজে যে শিশু শুয়োরটা দেখলাম ওটাকে খেলাম ক্ষিদের জ্বালায়। কালকের বিষাদ মাদুলি সংক্রান্ত কোনো
পার্শ্বপ্রক্রিয়া হয়ত।
আজ দিনের দিকে আলো উঠবে না রাতে রোদ হবে একপশলা।সেইমতো আমিও
একসার কঙ্কালের মিছিলে যোগ দিলাম।তবে ওদের শিশ্নটা জীবন্ত আর মাটি অবধি লম্বা। হারিয়ে গেলাম আর হঠাৎ দেখি সেই রানীপুরের
শীতলা মন্দির।সামনের গোলাপি বাড়ির দরজা খুলে যে ভেতরে নিয়ে গেলো খুব আশ্চর্য সুরভিত
তার উর্ধাঙ্গ কিন্তু নীচে অন্ধকার।আমি কাউকে খুঁজছি।একটা ঘর।ওখানে কবি সভা
হচ্ছে। সব
মৃত কবিরা গোল করে বসে আছে।পাশে রাখা আছে ওদের মুণ্ডুটা।একটা ফর্সা ন্যাংটো মেয়ে দুলছে
নাচের ছন্দে।এসব অতীত কবিরা কেউ ওর মাই টিপছে, কেউ গাল চাটছে। হঠাৎ তাকেও দেখতে পেলাম যাকে আমি খুঁজছিলাম। তার মুণ্ডু থেকে কালো চেরা দাগ জিভ দিয়ে কালো
মথের মতো পাপড়ি লেহন করছে। ওদের মাত্র একটাই ঘোলা চোখ।আমার বমি পাচ্ছে। মৃত কবিরা
জনশূন্য একটা বোতল থেকে রক্ত ঢেলে নিচ্ছিল ওদের কাটা গলায়। আমি হড়হড় করে উগরে দিই সব। বঙ্গলিপি খাতা, ঝর্না কলম, শব্দকোষ।
অট্টহাস্য হচ্ছে লাল নীল বেগুনি গাছগুলো থেকে। বাদুরেরা ঝুলছে। আশ্চর্য
হয়ে দেখলাম সব মুখ আমার মুখ।আমি কাঁদলাম। বঙ্গলিপি আর ঝর্না কলম উড়ে গেলো পেঁচাদের সাথে।
হয়ত আমার বাবার সঙ্গে এবার দেখা হয়েই যাবে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 comments:
Post a Comment