Tuesday, 6 August 2019
স্বপিণ্ডদান, আত্মশ্রাদ্ধ ইত্যাদি লোকাচার
গত রাত্রি একাদশী ছিলো, আজ শ্রাবণের দ্বিতীয় সোম দ্বিপ্রহরে
উচ্চারণ করি- 'নম: স্বধায়ৈ স্বাহায়ৈ নিত্যমেব তবস্থিতি'। নাও,অনামিকা ছুঁয়ে নেমে গেলো
অসংখ্য তিল, যে সমস্ত সন্তানদের আগমণ সম্ভবণাকে আমি হত্যা করেছি ডাকিনী মায়ায়,তাদের
শিশু মস্তকগুলি ডুবে গেলো ক্রমে প্রবল শ্রাবণে। মরিচাদুষ্ট নিমের ডাল কটি দুয়ারে রাখা
আছে। যে হাঁড়িতে আমার অন্ত্যেষ্টির চাল ফুটছিলো, পোড়া লাগা হেতু পিণ্ডগুলি সে প্রসব
করেছ নিরন্তর ঘ্রাণময়। মাঙ্গলিক যে সবুজ পত্রটিতে আঁকা ছিলো কড়ি ও চেলী, তার রম্ভা মূলাংশের সামনে কুশের আসন। অগ্রদানী উপস্থিত নেই। উৎসর্গ দানের অপেক্ষায় বুভুক্ষু কাকের
সারি। বিধিমতে
শ্রাদ্ধশান্তি বহু আগে শেষ। কিছু কি বাকী?আজ এই অসম্ভব নীলে, যদি শান্তি তর্পণ না হয়, তবে কোনকালেই প্রেতযোনি থেকে পরিত্রাণ
সম্ভব নয়। এমনই
নক্ষত্র ইঙ্গিত ছিলো গত ষোড়শ প্রহরে। কালব্যাধি নির্ণয়ের পর একশত দিবস ছিলো আরোগ্যের। মৃত শবের ফিরে আসা ছিলো মাতৃক্রোড়ে। ভ্রম নয়, সে ছিলো শূন্য দর্শন কারন আত্মারামের কলস ভূমিতে
আছড়ে ভাঙার পর আমি তাকিয়েছিলাম ফিরে। তখনও আমার চিতা আগলে চণ্ডালটি বসে শেষ আগুন উসকানোর
ফিকিরে। আত্মার
স্বস্ত্যয়ন আজ সম্পন্ন হলো। আমি মুক্তি নিলাম না দিলাম সেই উত্তরের সঙ্কেত গাঁথা
তন্ত্র ও অলীকে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
কিছুটা বিস্ময়ে স্তব্ধবাক হয়ে গেছি-- এ যে অভাবিত পরিণত লেখা।
ReplyDeleteঅনেক সাদর অভিনন্দন নিস।
প্রণাম
Delete