Friday, 2 August 2019
জাদুঘর
আশ্রয় ছেড়ে বেরিয়ে এলো লালঝুঁটি মোরগ
অচিন্ত্যনীয় সঙ্গম, নির্বাণ,
কালক্রমে এমনটি হওয়ার কথা ছিল যেন
বিকেলের আর্তদৃশ্য নিঃসন্তান ছায়ার কাছে
পূর্বপুরুষদের ফল পাঠালো
চিদাকাশে নির্মল পুংতত্ত্বের ছ্যাঁদা ইত্যাদি
জ্বলজ্বলে মণিটি এখন অনেকদূরে ভাসমান
আমরা কেউ উদাসী সোফায় দিব্বি আঁকড়ে বসেছি
কোকুন, রাজার
ব্যবহৃত স্টেরয়েড কিংবা
পর্যায়ক্রমিক মৈথুন,
এসবই উৎকীর্ণ লিপি
অথবা খোকা হয়ে ওঠা হেঁসেলের খোদাই...
পুরুষতত্ত্ব
মাপমতো পোষাকে ক্রমাগত ডেকে উঠছে
একরোখা শূন্য
ভাবপ্রয়াসী প্রার্থনা কিংবা হামামী প্রেমশব্দ
একা একা সিঁড়ি দিয়ে উঠছে পাখির ছানাসমূহ
ডানা নেই, হন্যে
হয়ে ঘুরছে দরজার ওপারে ডাক
শোবার মতো স্কেলিটন, আমিষ গাছ, দুধসাদা
সঙ্গম
পাখিদের অভিসন্ধিহীন উড়ান মানুষের ফ্যাকাশে শ্লেষ্মায়
বিলি কেটে যায় এমন
খিলখিলে অসমাধান !
আমাদের তথাপি পৌরুষ ঘ্রাণ
আমাদের চকোলেট বংশধারায় অতএব পৌরুষ জাবর...
মোহনা
অকিঞ্চিত প্রয়াগে এসে দাঁড়াই
প্রাত্যাহিক ফড়িং সশব্দে উড়ে আসে ঘরে
বেদীতলে পুষ্প ‘পরে খিদমত সকল
রোজগারে, ছিলিমে, সুরতে...
পায়রার তুলো ভিজে ওঠে এমন আবডাল
হাতে গাঢ় বংশপঞ্জিকা,তালিকার ভার
লাঘব হচ্ছে না অথচ বিক্রম ফুরিয়ে এলো
বীরত্ব, পৌরুষ, পিতৃত্ব এ সকল কেবল একেকটা
মায়াহীন ভাব হয়ে থাকছে
মাথাভর্তি জটা, মোক্ষ, অমলতাস
তোমাদের বৃক্ষ ভূমিসাৎ হচ্ছে আবাসে
এমন লাবণ্যময় বার্ধক্যে কেবল আমার সাধ
....
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
ভালো লাগলো...
ReplyDelete