আমরা এই বরফগুলো নিয়েই ততক্ষণ খেলা করতে পারি।
ঈশ্বরের বরপুত্রদের কোনও খিদে থাকতে নেই; আমরা জানতামই না এতদিন।
বরফে হাত দিলেই বুঝি এইসব আমাদেরই কৃতকর্মের ফল
জমাট ঠান্ডা হয়ে আছে।
বরফ এতদিনে সার্থকভাবে আমাদের লোভের খেত, ঘর;
পালানোর রাস্তা, গাড়ি, জুতো-জানালা দরজাও সব ঢেকে দেয়।
স্মৃতি যা বরফে ঢাকা- অস্পর্শ। সুতরাং
আমরা এই গোটা বরফযুগ জুড়েই খেলা করতে থাকব
বিশাল অখন্ড বরফের ওপর রাখা কিছু ছড়ানো বরফকুচি
বরফের কাছে কোনো প্রয়োজন নেই আমার।
আমি চাই, আরো অনেকেই এই কথা বলুক; যাতে
বরফগুলো চূড়া থেকে নেমে আসতে পারে।
পাহাড় বানানোর সঙ্গে অত বরফের কোনো যোগ নেই।
অহেতুক যে বরফেরা এসে ঢুকে পড়েছে আমাদের জুতোয়,
গাড়ির নিচে জমে চাকাকে অদৃশ্য করে তুলেছে গাছের পাতা সাদা...
সব বন্ধ ভেবে যারা বরফ ছুঁড়ে খেলছে সোল্লাসে; দু'তরফকেই
জানাতে চাই- বরফ অনিবার্য কিছু নয়। আমি চাই,
আরো অনেকেই এটা বলুক, যাতে বরফযুগ
কোনোদিনই আমাদের গ্রাস করতে না পারে।
বরফের সামনেই আমরা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করতে পারি যে,
ঢের বেশি আগুন ও লাভা চাপা আছে পায়ের নিচে; তারা আছে।
খোলা ছাদে উঠে এসে আমরা দিকচক্রবালের দিকে তাকিয়ে যেন
বলতে পারি- বরফ একটা শুভ্র কল্পনা মাত্র- যে তারা কখনোই
এই মন্ডলের ভেতরে ছিল না।
0 comments:
Post a Comment