Sunday, 4 August 2019
ডায়েরিঃ ২৬/০৬/২০১৯
ঘাড়গুজে বসে
আছে বিষণ্ণতা। কাঁধে উপরে কালো ফিঙেপাখি, ঝগড়া করছে হাওয়ার সঙ্গে। হাওয়াদের অদৃশ্য
হাত কোথায় কি করে বসে! হাওয়াগুলো হাতির দঙ্গল, কে কি-বললো না-বললো কিছু যায় বা আসে
না
যে আসে সে
এক চশমাপরা ধাড়ি উট। তৃতীয়া চাঁদের বাঁকা গ্রীবা। কথা বলে আরবি ভাষায়... আমি যার
কিছুই বুঝি না
ডায়েরিঃ ২৬/০৬/২০১৯
সান্ধ্যবৃষ্টির সঙ্গে মিশিয়ে দিচ্ছে কেউ কালো রং আলকাতরা।
টিনের ছাউনি উপচে গলে পরছে রাত
পাপোষে কুণ্ডলী পাকিয়ে বসে বর্ষা সংক্রান্ত যোগাসন করছে
পুষি
উঁচু জানালায় বসে বাড়িটিকে জাহাজ ভাবছি আর নিজেকে সে
জাহাজের ক্যাপ্টেন... ভরা আষাঢ় সমুদ্র
গাছদের পা
থাকলে কী হতো? -হেঁটে হেঁটে চলে যেত দূরে কোথাও
গরু বা ছাগলের ক্ষেত্রে যা হয়, উহাদের পা থাকার ফলে রাখাল
টাখাল রেখে মালিকে গুনতে হয় বাড়তি পয়সা
গাছদের পা থাকলে কবি টবি স্বভাবের লোকগুলো হয়ে যেত গাছের
রাখাল
ডায়েরিঃ ২৮/০৬/২০১৯
১৪ আষাঢ়,
বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়া মেঘ বাড়ি ফিরে এলো। বাড়ি জুড়ে বৃষ্টি ও বজ্রপাত। বাড়ি
ভর্তি তুমুল বর্ষাকাল। কাঠের আসবাবগুলো গাছের জীবন পেয়ে ডালপালা মেলছে আবারও
অঝোর
রাত্রি, বউ পালঙ্কে ছাতা মেলে ঘুমোচ্ছে
বুক সেলফ
জুড়ে ডাকছে ব্যাঙ
ডায়েরিঃ ৩০/০৬/২০১৯
বিকেল
প্রকাণ্ড ফুল হয়ে ফুটে আছে! দেখে তাই বিস্ময়ে দুই চোখ উঠে গেছে কপালের দিকে, নামতে
চায় না
নীল-রং
বাড়িটিকে মাঠের ওপারে আকাশ বলে ভুল হয়। বারান্দায় অবাক দাঁড়িয়ে থাকে লাবণ্য দাশ।
সে আজ বারান্দায় নেই কেন? জামা তার
শুকচ্ছে শেষ বেলার রোদে
হাটুরে
ফিরছে বাড়ি। পাখিরা ফিরছে। গাছের ছায়ারা লম্বা হয়ে শুয়ে পড়ছে, এবার ঘুমবে
এই সব
দেখেশুনে কেটে গেলো প্রকাণ্ড রবিবার
গভীর রাতের
দিকে দেখি এক হুতুম পেঁচাকে। সে এক চশমা পরা পাখি
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
প্রিয় মাসুদার দা। বরাবরের মতো মায়াময় টুকরো সব। মুগ্ধ।
ReplyDeleteখুব ভালো লেগেছে। এমন লেখনীর কাছে মাথা নত করি।♥
ReplyDeleteভালো লাগা।
ReplyDelete